প্রকাশিত: ১৯/০৭/২০১৮ ৮:৪৮ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৩৪ এএম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে কোনো ভাবেই থামছে না ইয়াবা পাচার! পুরুষের পাশাপাশি একাধিক নারীও জড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা পাচার কাজে। তারা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে সু-কৌশলে দেশের অন্য প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে ইয়াবার চালান। পেটের ভিতর ও পায়ু পথে কৌশলে নিয়ে যাচ্ছে এসব মাদক। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকছে ইয়াবা। এই মাদক ব্যবসার মূল কেন্দ্র হচ্ছে দেশের দক্ষিণের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে। সেখান থেকে নানা কৌশলে সর্বনাশা এই মাদক সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে ইয়াবা গডফাদাররা। সারাদেশে ইয়াবা ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়ায় গত মে মাসে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এই পর্যন্ত ১৪৫ জনেরও বেশি মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। এতেও ইয়াবা পাচারে কোন প্রভাব পড়ছেনা সড়ক ও নৌ পথে। প্রতিদিন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন তল্লাশীতে ধরা পড়ছে ইয়াবা’র চালান। সাথে আটক হচ্ছে পাচারকারীরাও। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে নিত্যনতুন কৌশলও ব্যবহার করছে। ইতিপূর্বে সড়ক পথে নারিকেলের ছোবরার ভিতর, মাল্টা, চাকার ভিতর, গ্যাস সিন্ডিারে, ট্রাক ভর্তি খড়ের ভিতর ও গাড়ির যন্ত্রাংশে লুকিয়ে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেকেই চালান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। এছাড়া গাড়ির চেসিসে চুম্বকের সাহায্যে বিশেষ কৌশলে ইয়াবা পাচার হচ্ছে এখন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কের একাধিক স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশী থাকায় পাচারকারীরা ঘুমধুম হয়ে পার্বত্য অঞ্চলের নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা, আলীকদমের অভ্যান্তরীণ সড়ক ব্যবহার করে বান্দরবানে ঢুকে যাচ্ছে। সেখান থেকে সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া সড়ক এবং রাঙ্গামাটি হয়েও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাচ্ছে ইয়াবা’র একাধিক চালান। সেখান থেকে নানা কৌশলে সারাদেশে চলে যাচ্ছে ইয়াবার বড় চালানগুলি। অন্যদিকে ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালান টেকনাফ থেকে সাগর পথে মাছ ধরার ট্রলারে করে চট্টগ্রাম হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এসব পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি কম থাকায় দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা।

র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদক পাচারকারীদের ধরতে সড়ক ও নৌপথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিকল্প পথগুলোতেও বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হোসেন বলেন, ইয়াবা লাভ জনক হওয়ায় এইটা তাদের নোংরা পেশার অভ্যস্ততা। পুলিশ যতই কঠোর হোক, এই পেশা থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা সরে আসতে পারছেনা। বিশেষ অভিযানের ফলে ইয়াবা পাচার অনেক কমেছে। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, গভীর সমুদ্রে যারা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন, তারা কঠোর অবস্থানে থাকলে অন্তত মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ হতে পারে।

পাঠকের মতামত

সীতাকুণ্ডে কুমিরা-সন্দ্বীপ ফেরি ঘাট দিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা ...

গহীন পাহাড়ে কঠোর প্রশিক্ষণ, যা বললেন কুকি চিনের আকিম বম

বান্দরবানে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী শাখার বান্দরবান সদর ও ...

নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচন বর্জনে জেলা বিএনপির লিফলেট বিতরণ

বান্দরবান জেলার আসন্ন নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনে বান্দরবান জেলা বিএনপির দিনব‌্যাপি লিফলেট বিতরণ করা ...

নাইক্ষ‍্যংছড়ির গহিন অরণ্যে অভিযান, ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ‍্যংছড়ির গহিন অরণ্যে দুর্বৃত্তদের আস্তানায় হানা দিয়ে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ...